গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
গংগাচড়ায় রংপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তিমত্তা ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে তাদের হৃদ্যতা নতুন মাত্রা পেল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আওতাধীন রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক শাখার ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এক স্মরণীয় ঈদ পুনর্মিলনী ও প্রীতিভোজ।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে গংগাচড়া উপজেলা মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত এই ঈদ মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন গংগাচড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নায়েবুজ্জামান এবং পরিচালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
এ যেনো রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বার্তা: অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, জননেতা মাওলানা অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। তিনি বলেন > "ইসলামের ইতিহাসে মেহনতী মানুষদের অবদান সর্বদা অগ্রগামী। হাটে, বাজারে, পথে-ঘাটে ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক ভাইদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।"
তিনি আরও যোগ করে বলেন> “বিগত নির্বাচনে জামায়াতের বিজয় জনগণের রায় ছিল, কিন্তু তা ছিনতাই করা হয়েছে। আজকের জামায়াত আগের চেয়ে অনেক বেশি সু-সংগঠিত, জনপ্রিয় ও প্রস্তুত।”
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রংপুর জেলা সভাপতি বেলাল আবেদিন। তিনি বলেন> "শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ইসলামের আদর্শই হচ্ছে একমাত্র মুক্তির পথ। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় শ্রমজীবীদের মর্যাদা রয়েছে সর্বোচ্চ স্তরে।"
বিশাল সমাবেশ ও প্রভাব: জানা যায়, হাজারো রিকশা, ভ্যান ও অটোচালকের সরব উপস্থিতিতে গোটা গংগাচড়ায় সৃষ্টি হয় এক অভূতপূর্ব পরিবেশ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কারণে সাময়িকভাবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রিকশা-ভ্যান সংকট দেখা দেয়। এই গণউপস্থিতি জামায়াতে ইসলামীর প্রতি শ্রমিক শ্রেণির আস্থা ও সমর্থনের প্রতিচ্ছবি বলেই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পরিসমাপ্তি ও সৌহার্দ্য: অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি বিবেচনা করে, সভাপতি মাওলানা নায়েবুজ্জামান আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। পরে অংশগ্রহণকারী সকল চালকদের মাঝে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
এ যেনো জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ের প্রতিচ্ছবি:> রংপুরের গংগাচড়ায় এটাই ছিল জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শ্রমজীবী চালকদের নিয়ে সর্ববৃহৎ ও অন্যতম সফল ঈদ পুনর্মিলনী। অনেকেই একে রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘শ্রমজীবী মানুষের ঈদ উৎসবে ইসলামী আন্দোলনের ঐক্য’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।
এ ধরণের কর্মসূচি আগামীতে আরও প্রসারিত হলে রাজনৈতিক সচেতনতা এবং অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।