রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর কাছে জিম্মির অভিযোগ উঠেছে।
বলা হচ্ছে একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর ফরিদা আক্তার আরজু, যদিও তার পদবী পরিসংখ্যান সহকারী। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে তার চাকুরী হয়।
যার পিতা ছিলেন সাবেক জেলা কৃষক লীগের নেতা, সেই দাপটে একক আদিপত্য বিরাজ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেটি বেগমগঞ্জ ১০বেড সরকারী হাসপাতাল নামে পরিচিত। নিজেই সকল কাজের সিদ্ধান্ত নিতেন। করোনা কালীন সময়ে সে ভুয়া সনদ এবং বিপুল অর্থের বিনিময়ে পজিটিভ রোগীকে নেগেটিভ বানিয়ে বিপুল অর্থ লোপাট করতেন। তৎকালীন সময়ে এর প্রতিবাদ করার কারো সুযোগ ছিল না, সে প্রতিনিয়ত বদলি করার হুমকি দিতেন কারণ তার বাব জেলা আওয়ামীলীগ নেতা । অভিযোগ উঠে আসে যে তিনি
একজন পরিসংখ্যান সহকারীর তার রুটিন কাজ হচ্ছে অন-লাইন তথ্য প্রদান করা, কিন্তু বাস্তব সে বিভিন্ন শাখার অর্থনৈতিক ফাইল পরিচালনা করতেন এবং এসব ফাইল নামে মাত্র ব্যয় দেখিয়ে ভুয়া বাউচার তৈরী করে অর্থ লোপাট করতেন। এবং করবোনা কালীন অনেক স্বাস্থ্য সহকারী বিভিন্ন ভাতাদী অন্যায় ভাবে নিজে হাতিয়ে নিতেন। এই পরিসংখ্যান সহকারী ছিলেন বিগত আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাদীন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষধ বেগমগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি যার কারণে জেলা পর্যায়ের সকল আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকতেন। সে এতটায় ক্ষমতাবান ছিলেন যে, উপজেলা “স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ” তার ক্ষমতার দাপটে যা বলতেন তাই শুনতেন।
সে প্রতিনিয়ত বিগত সময়ে হাসপাতালের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারী প্রতিবাদ করলে তাকে বদলী করার হুমকি দিতেন।
৫ আগষ্টের আগে সে ছাত্র-জনতার দাবীর বিপক্ষে সরাসরী অবস্থান নিয়েছে এবং অনেক আহত ছাত্র-ছাত্রী উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে সেবা ছাড়া ফেরৎ যেতে বাধ্য হয়েছে।
তার এধরনের ফ্যসিবাদী কর্মকান্ডের কারনে নোয়াখালী সিভিল সার্জন তাকে গত ১৯মে ২০২৫ইং তারিখে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করেন, কিন্তু বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হতে সে তার পরিচালীত ফাইল পত্র এবং দাপ্তরিক বিষয়াদী হস্তান্তর না করে যে ছাড়পত্র গ্রহণ করেন। তার অফিস কক্ষটি তালা দেওয়া রয়েছে, সরকারী জরুরী সেবা হতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তীতে পড়েছেন।
এ বিষয়ে শোনা যাচ্ছে, যে বর্তমান সিভিল সার্জন এর মাধ্যমে তদবির করে দ্রুত বদলী আদেশ বাতিল করে পুনরায় বেগমগঞ্জ স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ফিরে আসবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগীরা বলেন
হাসপাতালের ল্যাব, ইসিজি, আলট্রাসনোতে রয়েছে নানা অনিয়ম এর অভিযোগ সরকারী কোষাগারে নামে মাত্র মৃল্য জমা দিয়ে মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যা এখন পুন বহাল এর জন্য তদবিরে কাজে লাগাচ্ছে ।
সচেতন মহলের দাবী এধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মচারী যেন পুনরায় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না আসে এবং অনতিবিলম্বে দাপ্তরিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবেই বিপ্লব উত্তর বাংলাদেশ সংস্কার তরান্বিত হবে। নাহয় দূর্নীতি রয়েই যাবে।