শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
হোমিওপ্যাথির আকাশে আজ ঘন কালো মেঘ বিরাজমান। অন্ধকার হয়ে আসছে সবকিছু। তা এক বিশাল ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা। হোমিওপ্যাথি টিকে থাকলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক শিক্ষক ব্যবসায়ী, আমদানি কারক, উৎপাদক সবাই টিকে থাকবে। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্য খাতে হোমিওপ্যাথির অংশগ্রহণ বা অবদান মাত্র ১.২ পারসেন্ট দেখানো হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২৫-৩৫ শতাংশ মানুষ আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করে। ১.২ শতাংশ দেখানো আমাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বর্তমান কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার দুজনেই এডমিন প্রশাসনের ব্যক্তি। তারা হোমিওপ্যাথির কেউ নন। কাউন্সিল গঠন না হওয়ায় তারা যে কোন সিদ্ধান্ত এককভাবে নিয়ে নিচ্ছেন। আজকে কলেজ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রাপ্ত বেতন ভাতা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০২৩ সালের পাশ হওয়া হোমিওপ্যাথিক আইনে কোথাও শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন/ভাতা দেওয়ার কিছু উল্লেখ নাই। কোন আইনের বলে সরকার আমাদের তা প্রদান করবেন তা জানতে চেয়েছেন। কারন সরকার কেন বেসরকারি কলেজের বেতন ভাতা প্রদান করবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করা জরুরি। আমরা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি হোমেকশিস বাংলাদেশ এর উদ্দ্যোগে গতকাল বিভিন্ন সংগঠনের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি। সেখানে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় অচিরেই সকলের অংশগ্রহনে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। যে কমিটির মাধ্যমে দাবী আদায়ে স্মারক লিপি প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, আন্দোলন সবই করা হবে। যদি আমরা হোমিওপ্যাথি কে ভালোবাসি, হোমিওপ্যাথি কে সম্মানের সাথে টিকিয়ে রাখতে চাই, তাহলে সকলের উচিত হবে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য বদ্ধ হওয়া।
মেসেজ টি সকল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক শিক্ষক ব্যবসায়ী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।