সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :-
টাকা দিলেই অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেন গোদাগাড়ী সমবায় অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান। আর টাকা না দিলেই ফাইল আটকে রাখেন বছরের পর বছর। কথিত মৎস্য চাষী, মৎস্যজীবিদের পুজি করেই চলে তার ঘুষ বানিজ্য। প্রকৃত জেলে, মাছ চাষী ছাড়াও যে কেউ টাকা দিলেই প্রত্যায়ন দেন মোস্তাফিজুর।উপ- আইন বহি বাইরে কপি দেওয়ার বিষয়ে অফিসের নিষেধ থাকলেও টাকার বিনিময়ে কপি বিলি করেন তিনি।
মোস্তাফিজুর নাচোল উপজেলায় চাকুরীতে থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।ডিসিআর জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।এসময় আটক হয়ে ২ দিন জেল খাটে মোস্তাফিজুর। ৭ মাস সাসপেন্সনে ছিলেন ২০২৪ সালে অভিযুক্ত ঐ মামলায়।অভিযোগের ফলে তার বদলি হয় সিরাজগঞ্জ এলাকায়।সেখান থেকে ততকালীন আওয়ামী লীগের এমপি ওদুদ দারাকে দিয়ে তদবির করিয়ে বদলি নেন গোদাগাড়ী উপজেলায়।
গোদাগাড়ীতপ এসেও তার ঘুষ বানিজ্য থামেনি।এই অফিসটিও তার নিজের কব্জায় নিয়েছেন তিনি।মোস্তাফিজুর এককভাবে শুক্রবারেও অফিস করে থাকেন। তার নিজস্ব লোকজনের কাজ করে দেওয়ার জন্যই তিনি শুক্রবারেও অফিস করেন।
মোস্তাফিজ পুকুর দেওয়ার কথা বলে পুকুর প্রতি নেন ৩ হাজার টাকা। সমিতি রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়ে সমিতি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। প্রত্যায়ন নিতে ৮০০ থেকে ১ হাজার, উপ- আইন কপি নিতে ৪ শ থেকে ৫ শ টাকা নিয়ে থাকেন তিনি।
কেশবপুর এলাকার আলমগীরকে মৎস্য সমিতি করে দেওয়ার কথা বলে ৩৫ হাজার টাকা নেন কয়েক দফায়।
রাজাবাড়ী এলাকার হাজিকুকে প্রত্যায়ন দেওয়ার কথা বলে ২ টি প্রত্যায়নে মোট ১৪ শ টাকা নিয়েছেন। উপ আইনের কপি দিতে নিয়েছেন ৪ শ টাকা।
অভিযোগ কারী মাধবপুর এলাকার মৎস্যচাষী শহিদুল ইসলাম মেম্বার বলেন,মোস্তাফিজ আমার কাছে ১৪ শ টাকা নিয়েছেন দুটি প্রত্যায়নে। হাটপাড়ার মৎস্যচাষী রাসেল আলীও দিয়েছেন ১ হাজার টাকা।
কুঠিপাড়া এলাকার মৎস্যচাষী সুমন আলী বলেন, গত ২৩ এপ্রিল প্রত্যায়ন দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নেয় আমার কাছে।পরে প্রত্যায়ন দিতে দেরি করায় আমি টাকা ফেরত নিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।